স্পোর্টস ডেস্ক:
আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো বিশ্ব। তার প্রস্থানে ১০ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠানোর দাবি করলেন মার্শেই কোচ আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াস। ম্যারাডোনার সম্মানে আর কোনও খেলোয়াড়ের এই জার্সি পরা উচিত হবে না বলে মনে করেন তিনি।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ম্যারাডোনা বুধবার হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। তার আকস্মিক বিদায়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের শোকাহত ব্যক্তিত্বরা। ম্যারাডোনাকে অবিনশ্বর বলেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ফুটবল গ্রেটের সাবেক ক্লাব নাপোলির শহর নেপলসের মেয়র লুইগি মাজিস্ত্রিস বলেছেন, ক্লাবের সান পাওলোর স্টেডিয়ামের নামকরণ ৬০ বছর বয়সী সাবেক তারকার নামে হবে।
ভিয়াস-বোয়াসের মনে করেন, ম্যারাডোনার সম্মানে ফিফার উচিত ১০ নম্বর জার্সিটি একেবারে তুলে রাখা। একই দিন মারা গেছেন তার স্বদেশী ক্লাব পোর্তোর বোর্ড সদস্য রেইনাল্ডো তেলেস। একসঙ্গে দুটি মৃত্যু সংবাদে শোকার্ত ভিয়াস-বোয়াস।
বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে পোর্তোর কাছে ২-০ গোলে তার দলের হারের পর পর্তুগিজ কোচ বলেছেন, ‘এটা খুব খারাপ খবর। তিনি (রেইনাল্ডো) আমার কাছে সত্যি গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলেন, কোচিং বিশ্বে আমার জন্য দরজা খুলে দেওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। আর এখন শুনলাম ম্যারাডোনার দুঃসংবাদ, এটা মেনে নেওয়া কষ্ট হচ্ছে। আমি চাই ফিফা সব প্রতিযোগিতা থেকে সব দল থেকে ১০ নম্বর জার্সিটি অবসরে পাঠাক। তার জন্য এটাই হবে আমাদের সেরা সম্মান। বিশ্ব ফুটবলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এক বছর আগে আর্জেন্টিনায় একটা ব্যানারে লেখা পড়েছিলাম, সেখানে লেখা ছিল, ‘ডিয়েগো তোমার জীবনের সঙ্গে তুমি কী করেছ সেটা ব্যাপার নয়, ব্যাপার হল তুমি আমাদের জীবনের জন্য কী করেছ।’ তিনি আমাদের অনেক আনন্দ দিয়েছেন এবং ফুটবলকে আরও দারুণ করে তুলেছেন। নাপোলি ও ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার জন্য যা করেছেন, তা অবিশ্বাস্য। শান্তিতে ঘুমান এবং ম্যানসিটির পক্ষ থেকে আপনার পরিবারের প্রতি রইলো সমবেদনা।’
লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ম্যারাডোনার সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার কথা বললেন। আর্জেন্টাইন গ্রেটকে একজন অসাধারণ ব্যক্তি হিসেবে দেখেছেন জার্মান কোচ, ‘একবার তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল আমার। ফুটবলকে এতটাই ভালোবাসতেন তিনি। তিনি অন্যতম সেরা একজন। ফুটবলকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।’